১৩ এপ্রি, ২০১৯

সাত সংখ্যার লোকেরা হয় অচতুর, উদাসীন, কল্পনাপ্রবন, চিন্তাশীল ও জ্ঞানপিপাসু।


তারা চিন্তাবিদ, দার্শনিক, উচ্চশ্রেণীর লেখক, চিত্রকর, পণ্ডিত ধর্মভীরু। তবে ধর্মীয় ব্যাপারে তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গী থাকতে পারে। দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হলেও ক্ষণিকের অনুপ্রেরণা তাদের আনন্দ দেয়। কথিত বাস্তবতার চেয়ে কল্পনাশক্তিই তাদের কাছে অনেক সত্য; যদিও সুদৃঢ় ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তাদের নিজেদের দীর্ঘদিনের অনুভূতির উপর নির্ভর করে কাজ করতে কিছুতেই ভুল করেনা। কিন্তু অন্যদের উপদেশ শুনে তারা বিপথগামী হয় এবং সত্যই অনেক দুঃখ ভোগ করে। পড়াশোনায় তাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি থাকে এবং যদি তারা ছেঁড়া পোষাকও পড়ে, তবু তারা সর্বত্র সুমর্যাদা পায়। তাদের মানসিক অগ্নিশিখা পারিপার্শ্বিক ঘূর্ণিবাত্যাকে ব্যাঘাত করেনা। অভ্যাস মনের দিকে তারা খুব সাদাসিদে। তাড়াতাড়ি পরিকল্পনা তাদের বিপদ ডেকে আনে, দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনাই তাদের জন্য উত্তম

তারা অশান্ত প্রকৃতির। অনেক উথ্থান-পতনের সম্মুখীন হতে হয়। বন্ধু বেছে নেয়ার মধ্যেই তাদের জীবনে কৃতকার্যতা আসে। তারা চায় বিশ্বস্ত, বিশ্বাসভাজন বন্ধু। খামখেয়ালীপনা তাদের শত্রু। অনেক সময় অসামাজিক কাজে তারা আনন্দ পায়। টাকার চেয়ে বরং স্বাস্থ্য মনের উন্নতির দিকে বেশি নজর দেয়। তারা অচতুর, গুপ্তবিদ্যায় শক্তিশালী এবং তাদের বাস্তবতা সম্বন্ধে ধারনা কম থাকে। অতীন্দ্রিয় জ্ঞানের প্রভাবে অন্যকে আকর্ষণ করতে পারে। উদাসীনতা তাদের সব ধ্বংস করে দিতে পারে, নিয়ে আসতে পারে অশান্ত মনোভাব হতাশা। নিজস্ব চিন্তাধারা বুদ্ধিবলে তারা যে প্রচুর অর্থ আয় করে, তা আত্মীয়-পরিজন জনকল্যানে ব্যয় করে

তাদের ট্র্যাজেডি হল কাজের পরিকল্পনা তৈরী করতে করতেই জীবনের অধিকাংশ সময় ব্যয় করে ফেলে। দৈবশক্তিতে শক্তিমান এবং এই শক্তির বলেই কল্পনাকে কাজে লাগায়। সহজেই অল্প সময়ে অনেকের সাথে ভাল বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। নিজে খুবই সৎ, একটু ভীতু স্বভাবের। বাঁশি এবং অন্যান্য বাদ্য যন্ত্রাদি পছন্দ। তাদের কাছে জীবনটা ক্ষনস্থায়ী। সবার প্রতি সমান অনুরাগ। অন্যের জন্য চিন্তা করে। জীবনকে উল্টো দিক থেকে দেখতে চায়। তাদের নিজস্ব মতবাদ থাকতে পারে। তারা কষ্ট সহিষ্ণু, মানবিকতাবাদী, স্নেহ-মমতা প্রচুর, বড়দের শ্রদ্ধা বিশ্বাস করে। আত্মকেন্দ্রিক মনে হলেও আসলে তা নয়। তাদের স্বাস্থের প্রতি যত্ন প্রেয়োজন

যুক্তিপূর্ণ কথা মার্জিত কিন্তু তীক্ষ্ণ ভাষায় বলতে পারে। ভালবাসার ব্যাপারে একটা কৌতুক আবহাওয়া সৃষ্টি করতে পারে। তাদের জ্ঞানতৃষ্ণা অপরিসীম। স্বল্প সময়ে কঠিন বস্তুর সার গ্রহন করতে পারে। সঞ্চয় করতে যেমন পারে তেমনি অতিথি সেবাও করতে পারে। ভ্রমনে আনন্দ পায়, শিল্পীমনা, সৌন্দর্য্যের পূজারী। স্বপ্নের মত জীবন কাটানোর কথা ভাবতে পারে

চন্দ্রের নিষ্ক্রিয় বা ঋনাত্মক সংখ্যার প্রতীক। পাশ্চাত্য মতে নেপচুনের সংখ্যা। এটি সুখ, সমৃদ্ধি, রহস্যময়তা সৌভাগ্যের চিহ্ন। তারা নম্র, ভদ্র, সুন্দর মিষ্টি স্বভাবের হয়। তাদের বাহির দেখে মনের খবর পাওয়া যায়না। চাওয়া পাওয়ার বহিঃপ্রকাশ নেই তাদের চোখে মুখে কথায় বা আচার ব্যবহারে। সবকিছু তা যতই উচ্ছ্বল বা শোকাবহ হোক না কেন তারা সহজে চেপে রাখতে পারে। যেকোন পরিবর্তনের ভেতর নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারে। আনন্দ আহ্লাদের মধ্যেও নিজেদের স্বাতন্ত্র্যতা বজায় রাখতে পারে। চাপা স্বভাবের বলে সহজে নিজের দুঃখ কষ্ট বলতে চায়না

তাদের ভালদিক- কোমলতা, নিপুনতা, শান্তি, স্বাস্থ্য, আরোগ্য, বানিজ্য, উচ্চপদ। তাদের মন্দদিক- মূর্খতা, ভীরুতা, মদ্যপতা, মন্দগতি, অশান্তি, মনঃক্লেশ। পানির সাথে সম্পর্কিত কর্মে তাদের উন্নতি সহজ হয়। তারা প্রগতিশীল, ভ্রমন পিপাসু গুপ্তবিদ্যায় পণ্ডিত। লেখক, কবি, সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী, জ্যোতিষী, হস্তরেখাবিদ, গবেষক, বিদ্যুৎকর্মী, ফটোগ্রাফার, চিত্রকর, পাইলট, আর্চিওলজিস্ট, কণ্ঠশিল্পী, শেয়ার বাজারের ব্রোকার, পুস্তক ব্যবসায়ী, বিচক্ষন কর্মী হিসাবে নাম করতে পারে। বিদেশী পণ্যের ব্যবসায় তারা লাভবান হতে পারে

চর্মরোগ, চক্ষুরোগ, মাথা, কেশ, উদর, গুহ্যদেশ, জরায়ুর রোগ হতে পারে। ছাড়াও রক্তপাত, অস্ত্রোপচার, বিষক্রিয়া বা হজমের সমস্যা হতে পারে। হাল্কা সবুজ থেকে সবচেয়ে ঘোর ক্রীম, হলদে এবং সাদা প্রীতিপ্রদ সৌভাগ্যবর্ধক বর্ণ। মুক্তা, মুনস্টোন, ক্যাটস্আই, সাদা প্রবাল শুভরত্ন। রূপা, প্ল্যাটিনাম শুভ ধাতূ

যাদের জন্মদিনেরসংখ্যা, জন্মতারিখেরসংখ্যা কিংবা নামসংখ্যা , তারা সকলেই সংখ্যার প্রভাবাধীন মানুষ। অর্থাৎ যাদের জন্ম যেকোন ইংরেজি মাসের , ১৬ কিংবা ২৫ তারিখে তারা সংখ্যার মানুষ। শ্রাবন, আশ্বিন অগ্রহায়ন মাসের উক্ত তারিখ গুলিতে জন্মিলে সংখ্যার প্রভাব বেশি থাকে

যারা তাদের নিজেদের, প্রিয়জনদের কিংবা নিকটজনদের জন্মদিনেরসংখ্যা এবং জন্মতারিখেরসংখ্যা জানেননা তারা নাম বিশ্লেষন করে সংখ্যা নির্ণয় করে নিতে পারেন। জন্মদিনেরসংখ্যা, জন্মতারিখেরসংখ্যা এবং নামসংখ্যা নির্ণয় পদ্ধতি এখান থেকে জেনে নিতে পারেন