২১ এপ্রি, ২০১৯

নয় সংখ্যার মানুষ হয় সাহসী, সংগ্রামী, স্বাধীনতাপ্রিয়, একগুঁয়ে, রাগী ও কর্মঠ।


তারা অন্যকে অনুসরন করেনা, বরং অন্যে তাহাকে অনুসরন করুক সেটাই কামনা করে। তারা মনে করে তাদের জন্ম আদেশ মান্য করার জন্য নয়, বরং আদেশ করার জন্য। তারা পরিকল্পনা করে দ্রুত ফল লাভের আশা করে। তবে তারা বাস্তবধর্মী আদর্শের অধিকারী। সর্বদা কাজে উৎসাহী এবং সংগ্রামী। বিপুল শক্তির অধিকারী। কোনকিছুকে অবহেলা করেনা। যুদ্ধের গান, ছবি, সিনেমা, নাটক, গল্প ইত্যাদি বেশি পছন্দ। যুদ্ধভাবাপন্ন মনোভাব। সবকিছু অতিরঞ্জিত করে পার্থক্য দেখাতে পারে। অন্যের দূর্বলতার সুযোগে নিজের কাজ সমাধা করতে পিছপা হয়না। নয় সংখ্যা বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা তাদের পথে জয়ী হয়। জীবনে অনেক বাধার সম্মুখিন হয়, বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু ঐসব থেকে তারা নিরাপদে বেড়িয়ে আসতে পারে। অনেক ব্যাপারে তাদের ব্যক্তিগত ঝুঁকি থাকে, কিন্তু যেখানে আদর্শের প্রশ্ন থাকে, সেখানে তারা কোন মূল্যের তোয়াক্কা করেনা।

তারা তাদের নিজেদের বিরুদ্ধে সমালোচনা পছন্দ করেনা। তারা অল্প লাভ করেও আর্থিক অবস্থার তাড়াতাড়ি পরিবর্তন আনতে পারে। তাদের ভয়ানক গভীর আগ্রহ থাকে, কিন্তু তারা ফলের জন্য অসহিষ্ণু হয়। তারা অল্পতেই রেগে উঠে। নয় সংখ্যা সতর্ক, দ্রুত বুদ্ধি সম্পন্ন, কর্মঠ ও আশাবাদীর চিহ্ন। যখন গঠনমূলক তখন তারা আনন্দে অভিভূত, মনোবলে বলীয়ান ও উদার হৃদয়ের অধিকারী। আর যখন ধ্বংশমূলক তখন তারা ইর্ষাম্বিত, নীচমনা ও অত্যাচারী হয়। তারা উচ্চাকাঙ্খায়, আদর্শবাদীতে ও সম্মুখে এগিয়ে যাবার শক্তির জন্য বিখ্যাত হতে পারে।

একটু রগচটা স্বভাবের, কিন্তু কোমল হৃদয়। নানা প্রকারের বাস্তব অভিজ্ঞতা তাদের হয় এবং তা তাদের জীবনে কাজে লাগায়। সহজে পিছু হটেনা। তবে কঠিন পরিশ্রম করতে হয়। আত্মীয়-বন্ধুরা তাদেরকে পছন্দ করে। ব্যবসায় টাকা কামাতে পারে। তারা গর্বিত, নির্ভীক, তেজস্বী, সাহসী, একগুঁয়ে এবং কখনো কখনো নিসঙ্গ বোধ করবে। যেকোন গোপনীয় বিষয় জানার আগ্রহ থাকবে। জীবনে আলোছায়ার খেলা, কখনো রৌদ্র কখনো মেঘ থাকতেই পারে, কিন্তু তেমন আর্থিক দৈন্যতা খুব কমই আসবে। নানা আধিভৌতিক কাজে লিপ্ত হতে পারে। তারা কর্তব্যে অবিচল। তাদের জীবনে অবৈধ প্রেম ও বিশৃঙ্খলা পছন্দ নয়। তারা প্রকৃতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম মুখর। প্রথম জীবনটাই খুব দূর্যোগপূর্ণ হতে পারে তাদের।

সাহস, পরাক্রম, শৌর্য, বীর্য, যেখানে প্রদর্শন করা যায় এমন ঝুঁকিপূর্ণ পেশা তাদের পছন্দ। যেমন, দেশরক্ষাকারী যেকোন বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বিদ্যুৎকর্মী ইত্যাদি। এছাড়াও অপরাধ বিজ্ঞানী, গবেষক, দন্ত চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, রসায়নবিদ, ভ্রমনকারী, গুপ্তচর, জেলে, মৎস্য ব্যবসায়ী, কসাই, শিল্পী, চিত্রকর হতে পারে তারা।

নয় সংখ্যার অধিপতি মঙ্গল। কারো মঙ্গল অশুভ হলে তাদের মধ্যে অধর্ম, অভিমান, ঠকবাজি, কামুক প্রকৃতি প্রকাশ পেতে পারে। এছাড়াও কলহ, হিংস্রতা, শত্রুতা, রক্তপাত, অস্ত্রাঘাত, দস্যুতা, হত্যা, বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হতে পারে। এমনকি ঘৃন্য উপজীবিকায়ও কেউ কেউ জড়িয়ে পরতে পারে। আগুন, ইলেকট্রিক, মটর, ইঞ্জিন বা বিস্ফোরকে তাদের বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

তারা তমোগুন প্রধান এবং তাদের পিত্ত প্রকৃতি। তাদের পেশী দূর্বলতা, রক্তদোষ, রক্তচাপ, নাড়ী, গুহ্যদেশ, নেত্র, বাক, কর্ণ, প্রভৃতির কোন সমস্যা বা হাম কিংবা বসন্ত রোগ হতে পারে।

সব রকম লাল বর্ণ শুভ। সহকারী বর্ণ গোলাপী এবং ফিকে লাল। তবে ঘোরের চেয়ে হাল্কা ভাল এইসব বর্ণের। সব রকম নীলও মঙ্গলজনক। রূপা, প্লাটিনাম, স্টেনলেস ষ্টিল প্রভৃতি সাদা ধাতু তাদের জন্য শুভ।

উল্লেখ্য যে, বক্রী (Retrograde) অবস্থায় মঙ্গল খুবই শক্তিশালী থাকে। এসময় আগুন, ইলেকট্রিক, মটর, ইঞ্জিন, যানবাহন, বিস্ফোরক বা বিপজ্জনক পরিস্থিতি এড়িয়ে চলা উচিত। বিশেষকরে যাদের জন্মছকে মঙ্গল অশুভ তাদের এসব দিক থেকে বিপদের আশঙ্কা থাকে।

২১শে মার্চ থেকে ১৯শে এপ্রিল ৯ সংখ্যা সক্রিয় থাকে। রাশি মেষ। ২১শে অক্টোবর থেকে ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত ৯ সংখ্যা নিস্ক্রিয় থাকে। রাশি বৃশ্চিক।
নামসংখ্যা-৯ মেষ রাশি হলে:-
প্রতিরক্ষা, পূণর্গঠন, বাস্তবধর্মী আদর্শবান, অগ্রগতির বাহক ও অল্প সময়ে সমস্যা সমাধানে তৎপর। অন্যের দূর্বলতার সুযোগ গ্রহনকারী, সমদৃষ্টিযুক্ত, বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু, সংগঠক ও আনন্দদায়ী, উদার ও মনোবলে বলীয়ান। ধ্বংসাত্মক কাজে নীচবৃত্তি সম্পন্ন, অত্যাচারী ও ইর্ষাম্বিত হতে পারে। শত্রুভয় থাকবে। আয়-ব্যায়ের সমতা রক্ষা করা কঠিন হলেও নির্ধন হবেনা। অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের কারনে উন্নতি। কর্মক্ষেত্রে প্রাধান্য বজায় থাকবে। বৈবাহিক জীবন সুখময়। দেশভ্রমন হতে পারে। ভাবপ্রবন, শিক্ষিত ও অভিমানী।

নামসংখ্যা-৯ বৃশ্চিক রাশি হলে:-
সাহসী, ভ্রমনবিলাসী, বিকাশমান কাজের প্রতীক ও অনুসরণীয়। উৎসাহী, সংগ্রামী, দেশপ্রেমিক, শক্তির অধিকারী ও বুদ্ধি সম্পন্ন। বাধাপ্রাপ্ত হলেও শেষ পর্যন্ত কৃতকার্য হবে। আগুন ও বিস্ফোরক দ্রব্যাদিতে বিপদ। সতর্ক, কর্মঠ, আশাবাদী, ভয়ানক আগ্রহের কারনে অসহিষ্ণু, অল্পতেই রেগে যায়। দ্রুত পরিকল্পনা প্রণয়নকারী। হঠাৎ আর্থিক অবস্থা পরিবর্তনে তৎপর। বিপরিত লিঙ্গ ভাগ্যবান হয়। অসংযমিতার জন্য কোন অবৈধ কাজে লিপ্ত হতে পারে। কল্পনা সমূহ সামঞ্জস্যহীন হওয়ায় আবেগ তাড়িত হয়ে ভূল করে বসে। স্বীয় উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য কঠোর পরিশ্রম করে। শত ঝামেলাও কেটে যায়। প্রবাসে গুপ্ত কোন বিষয়ে অর্থলাভ হতে পারে। স্থল ও জল পথে ভ্রমন হতে পারে।

৯ সংখ্যার বিশেষ বৈশিষ্ট্য !
৯ সংখ্যার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল, তাকে ভাঙ্গা যায়না, বাড়েনা, কমেনা, স্থির থাকে। অন্যান্য সংখ্যার সাথে এখানেই তার অনন্যতা প্রকাশ পায়। অন্যান্য সংখ্যাকে ভাঙ্গা যায়, বাড়ে এবং কমে। যেমন, ৯ সংখ্যাকে যতবারই যোগ অথবা গুণ করা হোকনাকেন পুনঃরায় ৯ সখ্যাই ফিরে আসে। অন্যান্য সংখ্যার ক্ষেত্রে তা হয়না। এমনকি ১ থেকে ৯ পর্যন্ত সংখ্যাগুলি পরস্পর যোগ করলেও তার একক হয় ৯। যেমন, ১+২+৩+৪+৫+৬+৭+৮+৯= ৪৫= ৪+৫= ৯। আবার, ১,২,৩ যোগ করলে হয় ৬। ৪,৫,৬ যোগ করলে হয় ৬ (৪+৫+৬= ১৫= ১+৫= ৬)। ৭,৮,৯ যোগ করলে হয় ৬ (৭+৮+৯= ২৪= ২+৪= ৬)। আবার, এই তিন ৬ এ হয় ১৮ অর্থাৎ ১+৮= ৯।
 
যারা তাদের নিজেদের, প্রিয়জনদের কিংবা নিকটজনদের জন্মদিনেরসংখ্যা এবং জন্মতারিখেরসংখ্যা জানেননা তারা নাম বিশ্লেষন করে সংখ্যা নির্ণয় করে নিতে পারেন। জন্মদিনেরসংখ্যা, জন্মতারিখেরসংখ্যা এবং নামসংখ্যা নির্ণয় পদ্ধতি এখান থেকে জেনে নিতে পারেন।

১৫ এপ্রি, ২০১৯

আট সংখ্যার মানুষ হয় বিজ্ঞ, অধ্যবসায়ী, দূরদর্শী, বিবেকবান, পরিশ্রমী, সহিষ্ণু, গম্ভীর, বিদ্রোহী এবং অদৃষ্টের হাতের পুতুল।


তীক্ষ্ণ বুদ্ধি, তীব্র আত্মসম্মানবোধ, প্রবল প্রতাপ এবং বিপুল বৈশাদৃস্যময় জীবন তাদের। তারা ধীর-স্থির কর্তব্য কাজে অটল, বহু বাধা বিপত্তিতেও তাদেরকে কর্তব্য থেকে টলানো যায়না। তাদেরকে সাধারন মানুষ সব সময় ভুল বোঝে। হয়তো মনেকরে স্বার্থপর, ভীতু, অহংকারী বা পরশ্রীকাতর। আসলে তারা আত্মকেন্দ্রিক বটে, কিন্তু উদার হৃদয়, পরদুঃখকাতর এবং বৈশিষ্ট্যময় স্বাতন্ত্রতা সম্পন্ন। তাদের ভিতরে তপ্ত তেজ থাকলেও বাহিরে স্বল্পবাক। সেজন্যই খুব কম কথা বলা তাদের স্বভাব। জীবনে তাদের নিঃশব্দে নিঃসঙ্গতা নেমে আসতে পারে! সুফি বা বাউলদের মতো অপার্থিব স্পর্শ সুখ পাওয়ার জন্য ব্যাকুল তারা। কঠোর তাপস, অমৃতের সন্ধানী, পার্থিব বস্তুর সাথে অপার্থিব উপলব্দির সমন্বয় খোঁজে, কোন সত্যই সহজ সাধ্য নয়- এটিই বোঝাতে চায়। তাই তাদের মনের মানুষ কেউ নয়। তবে ভালবাসলে সব ত্যাগ করতে পারে

সাধারনের কাছে তাদের অনেকের জীবনযাত্রা, কথাবার্তা, আচরন সমূহ একটু অন্য রকম মনে হতে পারে। মনে হতে পারে বিষন্নময় তাদের জীবন। আসলে অনেকের মধ্যে সুপ্ত প্রতিভার প্রলুব্ধকর প্রকাশ দেখা যায়না বলে তাদের প্রতি ভুল ধারনার সৃষ্টি হয়। তারা যারা ধার্মিক সত্যাশ্রয়ী তারা তাদের যা কিছু আছে সব কিছু ধর্মের জন্য বিসর্জন করতে পিছু পা হননা। এমন কি জীবনও! ব্যাপারে তাদের সমকক্ষ খুব কমই পাওয়া যায়। আর যারা নাস্তিক, অধার্মিক বা কুকর্মে মন দেয় তারা শাপের চেয়েও ভয়ঙ্কর হতে পারে। একাধারে হৃদয়বান নির্দয় দুয়ের সমন্বয়ে তারা গড়ে উঠতে পারে। একটি কঠিন সত্য তারা উপলব্দি করতে সক্ষম হয় তা হল- জীবনটা কোন পূষ্পশয্যা নয়, বরং কন্টকাকীর্ণপথ!

তারা জন্ম বিদ্রোহী বীর, তাই রণক্লান্ত হয়েও ম্রিয়মান হয়ে যায়না। বরং আকাশ বাতাস মুখরিত করবার চেষ্টা করে থাকে অবিরত বিপ্লবের বাণী ছড়িয়ে। তাদের সংগ্রামময় জীবনের প্রতিষ্ঠা আসে অনেক দেরীতে, তবে তা স্থায়ী হয় অনেকদিন। অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায়- দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত, সামাজিক পীড়নে মর্মাহত আর শত্রুদের আক্রমনে আক্রান্ত, তবু দমে নেই। কোন কিছুই যেন সহজে পাওয়ার নয়! সত্যি যেন এক ট্রাজেডি! সংগ্রামবহুল জীবন তাই বহু ঝড়-ঝাপটা অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে হয়

কিরো বলেনআট সংখ্যার লোকেরা অদৃষ্টের শিশু। নিজেকে অকৃতকার্য করেও পরের উপকারের চেষ্টা করে।সুতরাং অসম্পূর্ণ কথা বলে গভীর গর্তে পতিত হয়েও তারা অন্যকে উদ্ধার করতে চেষ্টা করে। তারা অদৃষ্টের হাতের ক্রীড়নক। পুনঃ পুনঃ স্বার্থত্যাগ তাদের স্বাস্থ্য হানিতে প্রভাব ফেলে। অজানা সম্বন্ধে জ্ঞান তাদের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে। ইহা চাকুরির প্রতীক। গোপনীয়ও বটে। তারা স্বাধীন ইচ্ছা স্বাধীনতার জন্য উৎসুক। কিন্তু তারা পরিবেশের দাস। তাদের উচ্চ আদর্শ তাদেরকে দ্বায়ীত্ববোধহীন কাজে সাড়া দেয়না। খুব ভাল কাজ করে, যখন তারা শাসন করে। ভাল শাসন করে যখন তারা কাজ করে। তারা কর্তৃত্বের সর্বোচ্চ সিড়িতে, কিন্তু ইহা ব্যবহার করতে তারা অনিচ্ছুক। তারা নিঃস্বার্থ বলেই পার্থিব সুখ থেকে বঞ্চিত হয়, এবং পায় দুঃখ, ক্ষতি অপমান। তারা নিজেরা কঠিন কাজের প্রভু এবং নিয়মানুবর্তিতায় তারা নির্দয়। ভাল কাজ করলেও লোকেরা তাদের ভুল বোঝে, তাই মৃত্যুর আগে সে পুরষ্কার পায়না। তারা নিজেরা সত্যবাদী। নিজেদের বুদ্ধিতে কাজ করে এবং এজন্য অপেক্ষা করে। তারা সবার কাছ থেকে শেখে এবং সেটাই করে, যেটা ঠিক। তারা ধীরে ধীরে পরিশ্রমী হতে চেষ্টা করে, তথাপি আবেগময় আশাতে প্রলুব্ধ হয়। হঠাৎ কৃতকার্য লাভ করে। তাদের সৌভাগ্যের পেছনে থাকে অধিক চিন্তা চেষ্টা। রক্ষনশীল চিন্তা সহজেই তাদের মাঝে আসে, কিন্তু তবু তারা বিপ্লবী হয়। তারা মানবতার মহান প্রতিনিধি

জীবনে অনেক ভুল বুঝাবুঝির মধ্যে পড়ে বহু কষ্ট পেতে হতে পারে। চিন্তাবিদ এবং বিরোধী দল হিসাবে ভাল নাম করতে পারে। তারা সদা গম্ভীর, স্থিতিবান, সূক্ষ্ম বিবেকবোধ সম্পন্ন, অধ্যবসায়ী, পরিশ্রমী, সহিষ্ণু, দূরদর্শী, বিজ্ঞ, ব্যবসায়ী, রাজনীতিজ্ঞ, বিপ্লব, বিভেদ, ধৈর্য, তন্ত্র-মন্ত্র উথ্থান-পতনের প্রতীক। ক্ষতি নির্বোধ কাজে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে। এটি মোটেই সহজ সরল সাধারন জীবনযাত্রা নির্দেশক নয়, বরং বাধা বিপত্তি পদে পদে, চড়ম বিদ্রোহের ইঙ্গিত দেয়। তারা প্রতিটি ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে চলতে চায়। রক্ষনশীল। বিপ্লবী পদক্ষেপে ধ্বংস আসে। ধর্ম বিচ্ছেদের গান পছন্দ। শত বাধা বিপত্তির মধ্য দিয়ে অতি ধীর গতিতে অগ্রসর হয়ে জীবনকে গড়ে তুলবে। একটা সততা একটা আদর্শ তার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে। কেউ কেউ অতি চপল, জটিল, খল, অলস, মূর্খ ভয়ঙ্কর রাগী হতে পারে

তারা কুপিত বায়ু প্রকৃতি, তমোগুন প্রধান এবং কষায়রস তাদের প্রিয়। তাদের পিঙ্গল চোখ, মোটা নখ, কৃষ দীর্গ দেহ। চোখ, কান, শিরা, মূত্রাশয়, প্লীহা প্রভৃতির রোগ ছাড়াও তাদের যকৃত দূর্বল, রক্ত দূষিত, অঙ্গহানি এবং বাত রোগ হতে পারে

কঠোর পরিশ্রম নিজস্ব চিন্তাই তাদের জীবনের উন্নতির একমাত্র চাবিকাঠি। কেমিস্ট, টাইপিস্ট, ফায়ারম্যান, নৌকর্মী, ব্যাঙ্ককর্মী, সুদখোর, দালাল, ক্যাশিয়ার, ইঞ্জিনিয়ার, কাঠমিস্ত্রি, ঔষধ বিক্রেতা, শিক্ষক, বন্দর কর্মী, হোটেল কর্মী। ব্যবসায় উন্নতি। শেয়ার ব্যবসায়ও ভাল করে

সবরকম গভীর ধোঁয়াটে রং, নীল, বাদামী হলদের সংমিশ্রন ভাল। তারা গম্ভীর চিন্তাশীল এবং গভীর প্রকৃতির লোক বলে সবরকম গম্ভীর এবং ভারী রং ব্যবহার করা উচিত। ঘোর বর্ণই তাদের মেজাজের সাথে খাপ খায়। হাল্কা, উজ্জ্বল এবং তীব্র বর্ণের সম্মুখীন হলে- তাদের খিটখিটে মনে হয়, এবং অল্পেই নির্বাক, ভাবপ্রবন বা রাগান্বিত হতে পারে। তবে শনি যখন নিজ ঘরে থাকে তখন খুশী খুশী ভাব বজায় থাকে

যাদের জন্মদিনেরসংখ্যা, জন্মতারিখেরসংখ্যা কিংবা নামসংখ্যা , তারা সকলেই সংখ্যার প্রভাবাধীন মানুষ। অর্থাৎ যাদের জন্ম যেকোন ইংরেজি মাসের , ১৭ কিংবা ২৬ তারিখে তারা সংখ্যার মানুষ। মহাদুঃখদাতা শনি গ্রহের প্রতীক সংখ্যা। ২১শে ডিসেম্বর থেকে ২০শে জানুয়ারী সংখ্যা সক্রিয় থাকে। এই সময় জন্মগ্রহনকারীর রাশি মকর। ২১শে জানুয়ারী থেকে ১৮ই ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত সংখ্যা নিস্ক্রিয় থাকে। এই সময় জন্মগ্রহনকারীর রাশি কুম্ভ

যারা তাদের নিজেদের, প্রিয়জনদের কিংবা নিকটজনদের জন্মদিনেরসংখ্যা এবং জন্মতারিখেরসংখ্যা জানেননা তারা নাম বিশ্লেষন করে সংখ্যা নির্ণয় করে নিতে পারেন। জন্মদিনেরসংখ্যা, জন্মতারিখেরসংখ্যা এবং নামসংখ্যা নির্ণয় পদ্ধ এখান থেকে জেনে নিতে পারেন