৯ সেপ, ২০১২

কিভাবে হাতের রেখা বিশ্লেষণ করে ফলাফল বর্ণিত হয়?

মনে রাখতে হবে যে, হাতের রেখা সমূহ এককভাবে কোন সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করেনাএকটি সমন্বিত পদ্ধতি অনুসরণ করে ফলাফল বর্ণিত হয়কেননা কোন একটি রেখাই ব্যক্তিবিশেষে ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে থাকেএকটি একক রেখার গঠন সম্পূর্ণ কিছু নয়, অংশবিশেষমাত্রহাতের বিশেষ বিশেষ গড়ন বিশেষ বিশেষ নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের অস্তিত্বের প্রতীকস্বরূপতাই হাতের রেখা বিশ্লেষণ করতে হলে হাতের শ্রেণী, তার বৈশিষ্ট্য, গ্রহের ক্ষেত্রের প্রাবল্য অনুযায়ী হাতের শ্রেণী, হাতের ত্বক বা চামড়ার গঠন, হাতের লোম, হাতের প্রকার (বৃহ/ক্ষুদ্র, স্বাভাবিক/অস্বাভাবিক), হাতের তাপ, করতলের ত্বক বা চামড়ার গঠন, তার বৈশিষ্ট্য, করতলের বর্ণ, করপৃষ্ঠের লোম, করতলের বিশেষ চিহ্ন সমূহ, করতলের চামড়ায় অঙ্কিত প্যাটার্ণ সমূহ, করতলের শুভ ক্ষেত্র, অশুভ ক্ষেত্র, অঙ্গুলির গঠন, বৈশিষ্ট্য, পর্ব সমূহ, বিশেষভাবে বৃদ্ধাঙ্গুলির গঠন, বৈশিষ্ট্য, পর্ব সমূহ, আকৃতি, ধরন, অঙ্গুলির অগ্রভাগের প্যাটার্ণ সমূহ, নখের শ্রেণী, বর্ণ, চন্দ্রমা, চিহ্ন, মনিবন্ধ, বাহু, অতিরিক্ত কোন তথ্য থাকলে তাহাও, রেখাসমূহের উপত্ত্বিস্থল, রেখার গতি, প্রকৃতি, বর্ণ, আকৃতি, গঠন, বৈশিষ্ট্য, রেখায় বিভিন্ন চিহ্ন, অতিরিক্ত কোন তথ্য থাকলে তাহাও, মূলরেখা ও সাহয্যকারীরেখা সনাক্ত করন, করতলের বিশেষ বিশেষ স্থানসমূহ (বৃদ্ধাঙ্গুলির নিচের অংশ, শিরোরেখা ও হৃদয়রেখার মধ্যবর্তী অংশ ইত্যাদি) চিহ্নিত করন, শিরোরেখার দ্রাঘিমাংশ অঙ্কন করে ধীশক্তি ও মানসিক উপলব্ধির মাত্রা নির্ণয় এবং অক্ষাংশ অঙ্কন করে ধীশক্তির ব্যাপ্তি ও পরিমান নির্ণয় করে মানসিক পরিধির একটি অত্যন্ত সূক্ষ্ম ছবি অঙ্কন, করতলে  মনোজগত ও বস্তুজগতের ছক এবং অবচেতন মন ও সচেতন মনের ছক অঙ্কন করে সূক্ষ্ম ফলাফল বর্ণনা, লিঙ্গভেদে রেখার অর্থগত পার্থক্য, জাতিভেদে হাতের শ্রেণী ও রেখার বৈশিষ্ট্যগত অর্থ ইত্যাদি বিভিন্নভাবে বিশ্লেষণের জন্য হাতের ব্যবচ্ছেদ করে ফলাফল বর্ণিত হলে তবেই একটি পরিপূর্ণ সূক্ষ্ম সম্ভাবনাময় চিত্র অঙ্কন করা সম্ভব নতুবা নয় 

মানুষের হাত হচ্ছে আয়নার মত যেখানে প্রকৃত আপেক্ষিক দৃশ্যের মধ্যে জীবনের সবকিছু পর্যবেক্ষণ করা যায়নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটে, কিন্তু মূল নীতির কোন ব্যতিক্রম হয়নাআমরা একটি সত্য অবশ্যই স্বীকার করব যে, প্রতিটি জীবন একটি নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যে চলছেআর মানুষের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি বৈশিষ্ট্যগত প্রভেদ দেখা যায়! আর এই বৈশিষ্ট্যগুলি নির্ণয় করা যায় প্রত্যেকের হাত থেকেইতাহলে বলা যায়, হস্তরেখাবিদ্যা এমনই এক অনন্য বিদ্যা যার তুলনা সে নিজেইজগতের আর কোন বিদ্যার এই কৃতিত্ব নেইদুঃখ হয় যখন দেখি এমন এক বিদ্যার উপর মিথ্যা অভিযোগ আরোপিত হয়অথচ এটা কেউ বুঝতে চায়না যে, ব্যক্তিবিশেষের কর্মদোষ একটি মানবকল্যাণকর বিদ্যার উপর বর্তাচ্ছেযা উচিত নয়বরং যা উচিত, তা কেউ করছেনাউচিত হল, সেই ব্যক্তির কাছেই কৈফিয়ত চাওয়া যে, হাতের রেখা বিশ্লেষণের যে পদ্ধতির কথা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে তাকি সত্য, নাকি যেখানে সেখানে হাত ধরেই সবকিছু নির্দ্ধিধায় বলে দেয়া যায়? আমার চ্যালেঞ্জ রইল- তাদের প্রতি, যারা উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিকে অস্বীকার করবেআমি তাদেরকে কিরো, বেনহ্যাম, নোয়েল জ্যাকুইন সহ অন্যান্য বিখ্যাত লেখকদের বই পাঠের অনুরোধ করব 

আমি বলতে চাই, সঠিকভাবে হাতের রেখা বিশ্লেষণ করতে হলে দুই হাতের ছাঁপ সহ উপরে উল্লেখিত অন্যান্য তথ্যাদি লিপিবদ্ধ করতে হবেতারপর দ্রাঘিমাংশ-অক্ষাংশ, মনোজগত-বস্তুজগত, অবচেতন মন-সচেতন মন ইত্যাদি ছক অঙ্কন করে, তার সাথে অন্যান্য ফলাফল সমন্বয় করে তারপরেইনা একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য বর্ণিত হতে পারেআমি বলছি, যখন তখন যেখানে সেখানে হাত দেখে কখনোই কারো সম্পর্কে সম্পূর্ণ কিছু বলা যায়নাযতটুকু বলা যায় তা হল উপরে বর্ণিত পদ্ধতির মধ্যে একটি অংশের অসমন্বিত ফলমাত্র, যা সম্পূর্ণ নির্ভূল নাও হতে পারে এবং তা অবশ্যই অসম্পূর্ণ

এব্যাপারে সর্বসাধারণের ভুল ভেঙ্গে দেয়ার উদ্দেশ্যেই আমার প্রয়াসসাধারণ মানুষের জানার কথা নয় যে, যেখানে সেখানে হাত ধরেই সবকিছু নির্দ্ধিধায় বলে দেয়া যায়নাবরং তাহারা সচরাচর দেখে থাকে তেমনটিইআর তাহাই স্বাভাবিক মনে করে যেখানে সেখানে হাত বাড়িয়ে দেয় প্রতারকেরা সর্বসাধারণের এই অজ্ঞতাটুকুর সুযোগটিই নিয়ে থাকেআর তার দোষ বর্তায় মানবকল্যাণকর হস্তরেখাবিদ্যার উপরতাদেরকে প্রতিহত করা উটিত মানুষকে বোকা বানিয়ে যারা রোজগার করে তারা হয়ত নিজেরাও জানেনা মহাসমুদ্রসম হস্তরেখাবিদ্যার বিন্দুমাত্রজানলে আর প্রতারনার প্রয়োজন হতনাতারা শুধু মানুষকে মোহিত করার মত কিছু টেকনিক্যাল কথাবার্তা শিখে রোজগারের পথে নেমেছেপ্রতারনা থেকে অব্যাহতি পেতে আমাদেরকে আরো সচেতন হতে হবেআমি মনে করি এই লেখাটি যিনি পড়বেন তিনি অন্ততঃ প্রতারিত হবেননাতার সামনেও কেউ প্রতারিত হতে পারবেনাতার পরিচিতরাও কেউ প্রতারিত হবেনাএমনিভাবে একদিন প্রতারকদের দিন ফুরিয়ে যাবে

সংখ্যাতত্ত্ববিদ্যা কি ?


জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি জীবনের প্রতিটি মূহূর্তেই মানুষ নিজেকে, নিজের পরিমন্ডলকে, সময়কে এককথায় সবকিছুকে একমাত্র সংখ্যা দ্বারাই পরিচিত করে। আর তা করে প্রায় অসচেতন থেকেই। যেমন,- কারোনাম, স্থানেরনাম, বিষয়েরনাম বা দিন, তারিখ, সময় ইত্যাদি যা কিছুই বলিনা কেন সব কিছুর মাঝেই লুকিয়ে আছে সংখ্যা! কিভাবে? সংখ্যার সেই আধিভৌতিক দিক নিয়েই আলোচনা করে সংখ্যাতত্ত্ববিদ্যা। সভ্যতা বিকাশের সাথে সাথে মানুষ স্পষ্টতঃ অনুভব করেছে যে, জগতের সকল কর্মকান্ডই সংখ্যা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই অনুভব থেকে অনুসন্ধিৎসা, কৌতুহল ও আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়ে গবেষণা, চর্চ্চা এবং অনুশিলীত হয়ে আধুনিক সংখ্যাতত্ত্ববিদ্যায় রূপ নিয়েছে। সংখ্যার যে একটি আধিভৌতিক (Mistrious) ভূমিকা জীবনে ও জগতে রয়েছে এ সম্পর্কে আজ আর বিতর্কের অবকাশ নেই। তবুও পৃথিবীর দেশে দেশে সংখ্যাতাত্ত্বিকগণ সংখ্যার আধিভৌতিক প্রভাব সম্পর্কে আরো ব্যাপক গবেষণা চালাচ্ছেন। আমি নিজেও প্রায় ৩৭ বছর যাবত এ সম্পর্কিত গবেষণায় রত থেকে জীবন ও জগতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংখ্যার প্রভাব দেখে যাচ্ছি। আমি কোথাও সংখ্যা সম্পর্কিত মূলনীতির ব্যতিক্রম দেখছিনা! সংখ্যার এই অতিন্দ্রীয় প্রভাবই আধুনিক সংখ্যাতত্ত্ববিদ্যার (Modern Numerology) আলোচ্য বিষয়।

সংখ্যাতত্ত্ববিদ্যা বস্তুতঃ জ্যোতিষবিদ্যার চেয়েও প্রাচীন। জগতের প্রাচীনতম ধর্মগ্রন্থ সমূহে এর উল্লেখ রয়েছে। বেদ, বাইবেল প্রভৃতিতে এর উল্লেখ দেখা যায়। পবিত্র কোরআন শরীফে সূরা সমূহের সংখ্যায়িত লিখন পদ্ধতি দেখতে পাই। তাবিজ-কবজ লিখকগণ প্রায়শঃ সংখ্যায়ন পদ্ধতিতে লিখে থাকেন। সংখ্যাতত্ত্বের আবিষ্কার মানুষকে জ্যোতিষবিদ্যা (Astrology) এবং জ্যোতিষ্কবিদ্যার (Astronomy) প্রতি আকৃষ্ট করেছে। গ্রীক দার্শনিক পিথাগোরাসকে (Pythagoras খৃষ্টপূর্ব ৫৮২-৬০৭) আধুনিক সংখ্যাতত্ত্বের জনক বলা হয়ে থাকে। অবশ্য তারও বহু পূর্বে ধ্বংশপ্রাপ্ত ব্যাবিলনীয় সভ্যতার যুগেও এই বিদ্যার অনুশীলন হইত বলে প্রমান পাওয়া গেছে। পিথাগোরাসের অনুসারী ফিলোলাস (Philolus), নিকোমাকাস (Nichomachus) ছাড়াও হেরোডোটাস (Herodotus), সক্রেটিস, প্লেটো, এরিষ্টটল প্রমূখ গ্রীক পন্ডিতগন, এমনকি আইনস্টাইন সহ অন্যান্য খ্যাতিমান পন্ডিতগন এই বিদ্যার অনুশীলন করেছেন। এবং সংখ্যার অসীম ক্ষমতার কথা স্বীকার করেছেন। পরবর্তিকালে অধ্যাবদি বিশ্বব্যাপী অকাল্ট সায়েন্সের অনুরাগীগণ এস্ট্রলজি, পামিস্ট্রি এবং অন্যান্য মিস্ট্রিক সায়েন্সের পাশাপাশি এই অতিন্দ্রীয় সংখ্যাতত্ত্বেরও চর্চ্চা করে আসছেন।

সংখ্যাতত্ত্বের সাথে ফলিত জ্যোতিষের (Applied Astrology) সম্পর্ক অতি নিবিড়। ফলিত জ্যোতিষে ১২টি রাশি আছে এবং ৯টি গ্রহ তাদের অধিপতি (Ruling Planet)। অঙ্কের জগতে মৌলিক সংখ্যা ৯টি (১ থেকে ৯)। শূণ্য কোন সংখ্যা নয়, তবে সংখ্যার পাশে বসে তার মান বৃদ্ধি করেমাত্র। তা পৃথিবী বা Univers এর প্রতীক। গানিতিক অঙ্ক যত বড়ই হোক তার পারস্পরিক যোগফল মৌলিক একক সংখ্যায় রূপান্তর করা যায়। আর এই মৌলিক রূপান্তরই হচ্ছে সংখ্যাতত্ত্বের প্রতিপাদ্য বিষয়। যেমন,- ৯৮৭৬ সংখ্যাটি পরস্পর যোগ করলে হয় ৯+৮+৭+৬=৩০। আবার ৩০ কে পরস্পর যোগ করলে হয় ৩+০=৩। অর্থাৎ যতক্ষন না একক সংখ্যায় আসবে ততক্ষন পরস্পরকে যোগ করতে হবে। এক সময় তা ১ থেকে ৯ এর মধ্যে আসবেই। আর এই ১ থেকে ৯ সংখ্যা হল ৯টি প্রধান গ্রহের আধিভৌতিক বা অতিন্দ্রীয় প্রতিভূ যার প্রভাব মানব জীবনে অপরিসীম।

সংখ্যাতাত্ত্বিকগন (Numerologist) দীর্ঘকালের পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার মাধ্যমে প্রতিটি ব্যক্তি, বস্তু বা নামকে ইংরেজী বর্ণমালার ক্রমানুসারে সংখ্যায়িত করে মূল্যায়ন করেছেন। প্রশ্ন দেখা দিতে পারে জগতে অনেক ভাষা থাকতে ইংরেজী ভাষাকে বেছে নেয়া হল কেন? এর উত্তর হল,- প্রাচীনকালের বিভিন্ন প্রতীকই মূলতঃ কালের পরিক্রমায় বিভিন্ন প্রাচীন ভাষায় সংখ্যাতত্ত্ব বর্ণিত হলেও আধুনিক সংখ্যাতত্ত্ববিদ্যা ইংরেজীকে বেছে নিয়েছেন এর আন্তর্জাতিক আবেদনের কথা বিবেচনা করেই। কেননা এটি একটি আন্তর্জাতিক ভাষা এবং পৃথিবীর সকল গোলার্ধে এই ভাষা কমবেশি চর্চ্চা হয়। দ্বিতীয়তঃ অন্যান্য প্রধান ভাষা গুলোর আকার, ইকার, জের, জবর প্রভৃতি অথবা অক্ষর সংখ্যার প্রাচূর্যে বর্ণমালা অত্যন্ত জটিল। তাই ইংরেজীকে মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।

জগতে নাম ছাড়া কি কিছু হতে পারে? পারেনা। আর নাম আছে যার সংখ্যাতত্ত্বে তারই বিচার সম্ভব। কি ভাবে? পর্যায়ক্রমে তা লিখতে চেষ্টা করবো।

১৫ জানু, ২০১২

মনের অসীম বৈশিষ্ট্যের জন্যই মানুষ সৃষ্টির সেরা!


মানুষের মন সবচেয়ে বেশি বৈচিত্রপ্রবন! এই বৈচিত্রতারও কোন শেষ নেই! মনের গভীরতা, দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, রূপ, রং, গঠন কোনটারই কোন সুনির্দিষ্টতা নেই যা দিয়ে তাকে সংজ্ঞায়িত করা যায়সূর্য যত বড়ই হউক তার বৃহৎতা, তার জ্বালানীশক্তি, আলোক ও তাপ ক্ষমতা ইত্যাদি সম্পর্কে ভালকরে জানলে মনের মধ্যে সূর্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা জন্ম নিতে পারেযত বৃহৎ, যত দহন ক্ষমতা, যত শক্তিই সূর্যের থাক; মনে তার ছবি কল্পনা করতে সমস্যা হয়নাতাই বলতে হয় মনের ধারন ক্ষমতা বিশালমহাবিশ্বের সবকিছুর স্থান সংকুলান হওয়ার পরও মহাবিশ্বের অসীম স্রষ্টা আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনকে এই মনের মধ্যেই শুধু স্থান দেয়া যায়এ থেকে বুঝা যায় মনের ধারন ক্ষমতা শুধু বিশাল নয়, অসীম!

মানুষ যেহেতু আল্লাহ্ তায়ালার প্রতিনিধি তাই সে মন দিয়েই শুধু অসীম আল্লাহ্ তায়ালার প্রতিনিধিত্ব করে! এই মন তাই সেই অসীমকে জানতে চায়তার মধ্যে প্রশ্নোদয় হয়- তুমি কে? মানুষের মত মন দিয়ে আর কাউকেই সৃষ্টি করা হয়নিতাই মানুষের মাঝেই আল্লাহ্ তায়ালার সর্বোত্তম বিকাশ সম্ভবমানুষের সীমাবদ্ধ দেহের মধ্যে যে আত্মা তাহাও অসীমতাইত তাকে সীমাবদ্ধ জ্ঞান দিয়ে ধরা যায়নামনেরও কোন সীমা-পরিসীমা করা যায়নাতাহলে দেখা যাচ্ছে মনও অসীম, আত্মাও অসীমকোন বৈশিষ্ট্যের জন্য মানুষ সৃষ্টির সেরা- আত্মার না মনের?

উত্তরে বলবো, যেহেতু আত্মা মানুষ সহ সকল প্রাণীতেই আছে, কিন্তু মানুষের মত মন নেই সকলের, তাই বলা যায় মনের অসীম বৈশিষ্ট্যের জন্যই মানুষ সৃষ্টির সেরামনের এই বৈশিষ্ট্যতার জন্যই মানুষের জীবন যাপন প্রণালী অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে ভিন্নমানুষের মাঝে আল্লাহ্ তায়ালা বিকাশলাভ করতে চেয়েছেন বলেই মানুষকে এইরূপ মন দিয়ে সৃষ্টি করেছেনসোবহানাল্লাহ্! যে মানুষের মধ্যে আল্লাহ্ তায়ালার এই উদ্দেশ্য যথার্তরূপে সফল হয়েছে সেই সফল মানুষ