মানুষের মন সবচেয়ে বেশি বৈচিত্রপ্রবন! এই
বৈচিত্রতারও কোন শেষ নেই! মনের গভীরতা, দৈর্ঘ্য,
প্রস্থ, রূপ, রং, গঠন কোনটারই কোন সুনির্দিষ্টতা
নেই যা দিয়ে তাকে সংজ্ঞায়িত করা যায়। সূর্য যত বড়ই হউক তার
বৃহৎতা, তার জ্বালানীশক্তি, আলোক ও তাপ ক্ষমতা ইত্যাদি সম্পর্কে ভালকরে জানলে মনের মধ্যে
সূর্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা জন্ম নিতে পারে। যত বৃহৎ, যত দহন ক্ষমতা, যত শক্তিই সূর্যের থাক; মনে তার ছবি কল্পনা
করতে সমস্যা হয়না। তাই বলতে হয় মনের ধারন ক্ষমতা বিশাল। মহাবিশ্বের সবকিছুর স্থান সংকুলান হওয়ার পরও মহাবিশ্বের অসীম স্রষ্টা আল্লাহ্ রাব্বুল
আলামিনকে এই মনের মধ্যেই শুধু স্থান দেয়া যায়। এ থেকে বুঝা যায় মনের ধারন ক্ষমতা শুধু বিশাল নয়, অসীম!
মানুষ যেহেতু আল্লাহ্ তায়ালার প্রতিনিধি তাই
সে মন দিয়েই শুধু অসীম আল্লাহ্ তায়ালার প্রতিনিধিত্ব করে! এই মন তাই সেই অসীমকে জানতে
চায়। তার মধ্যে প্রশ্নোদয় হয়- তুমি কে? মানুষের মত মন দিয়ে আর কাউকেই সৃষ্টি করা হয়নি। তাই মানুষের মাঝেই আল্লাহ্ তায়ালার সর্বোত্তম বিকাশ সম্ভব। মানুষের সীমাবদ্ধ দেহের মধ্যে যে আত্মা তাহাও অসীম। তাইত তাকে সীমাবদ্ধ জ্ঞান দিয়ে ধরা যায়না। মনেরও কোন সীমা-পরিসীমা করা যায়না। তাহলে দেখা যাচ্ছে
মনও অসীম, আত্মাও অসীম। কোন বৈশিষ্ট্যের জন্য মানুষ সৃষ্টির সেরা- আত্মার না মনের?
উত্তরে বলবো, যেহেতু আত্মা মানুষ সহ সকল প্রাণীতেই আছে, কিন্তু মানুষের মত মন নেই সকলের, তাই বলা যায়
মনের অসীম বৈশিষ্ট্যের জন্যই মানুষ সৃষ্টির সেরা। মনের এই বৈশিষ্ট্যতার জন্যই মানুষের জীবন যাপন প্রণালী অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে ভিন্ন। মানুষের মাঝে আল্লাহ্ তায়ালা বিকাশলাভ করতে চেয়েছেন বলেই মানুষকে
এইরূপ মন দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। সোবহানাল্লাহ্! যে
মানুষের মধ্যে আল্লাহ্ তায়ালার এই উদ্দেশ্য যথার্তরূপে সফল হয়েছে সেই সফল মানুষ।