৩১ জুল, ২০১৮

জন্মসংখ্যা ও নামসংখ্যা নির্ণয় পদ্ধতি।


আসুন জেনে নেয়া যাক আমাদের প্রত্যেকের সংখ্যাগুলি। সংখ্যা দুই প্রকারে নির্ণয় করা যায়, একটি জন্মসংখ্যা অপরটি নামসংখ্যা। সঠিক জন্মতারিখ জানা থাকলেই শুধু জন্মসংখ্যা নির্ণয় করা সম্ভব। নতুবা নামসংখ্যাই ধরতে হবে। উল্লেখ্য যে, জন্মসংখ্যার মত নামসংখ্যা অতটা ভূমিকা রাখতে পারেনা বলে জন্মসংখ্যার গুরুত্বই বেশি। আবার জন্মসংখ্যাও দুই প্রকারের, একটি জন্মদিনের সংখ্যা অপরটি জন্মতারিখের সংখ্যা। যেমন, কারো জন্ম ১৪ জুন ২০১৩ যদি হয়, তাহলে তার জন্মদিনের সংখ্যা হল- ৫। আর তার জন্মতারিখের সংখ্যা হল- ৮। যদিও দুটি সংখ্যাই তার জীবনে প্রভাব বিস্তার করবে, তবে জন্মদিনের সংখ্যাই হবে মূখ্য। এবার বলছি কিভাবে সংখ্যা দুটি নির্ণিত হল।

আমরা জানি একক সংখ্যা হল থেকে শূণ্য কোন সংখ্যা নয়। বাকি সংখ্যাগুলি এই থেকে এরই পুনরাবৃত্তি শুধু বা যৌগিক সংখ্যা। অতএব পুনরাবৃত্তির সংখ্যাগুলিকে পরস্পর যোগ করে একক সংখ্যায় আনতে হবে যতক্ষণ না একক সংখ্যায় আসে। যেমন, ১৪ জুন ২০১৩ এর জন্মতারিখের সংখ্যা হল যেভাবে। ++ (জুন মাসের সংখ্যা)++++= পরস্পর যোগ করে হয় ১৭। যেহেতু ১৭ কোন একক সংখ্যা নয় তাই এটিকেও পরস্পর যোগ করতে হবে। যেমন, += আর জন্মদিনের সংখ্যা হল আর এর যোগফল। উল্লেখ্য যে, জানুয়ারী থেকে ডিসেম্বর অবধি মাসকে থেকে ১২ ধরতে হবে। আরো উল্লেখ্য যে, এই পদ্ধতিতে শুধুমাত্র যেকোন খ্রিস্টীয় সনের জানুয়ারী থেকে ডিসেম্বর অবধি যেকোন মাসের তারিখ গ্রহন করতে হবে

আরো পরিষ্কার করে বলছি, যাদের জন্ম যেকোন মাসের , ১০, ১৯ ২৮ তারিখে তাদের জন্মদিনের সংখ্যা- ১। যাদের জন্ম যেকোন মাসের , ১১, ২০ ২৯ তারিখে তাদের জন্মদিনের সংখ্যা- ২। যাদের জন্ম যেকোন মাসের , ১২, ২১ ৩০ তারিখে তাদের জন্মদিনের সংখ্যা- ৩। যাদের জন্ম যেকোন মাসের , ১৩, ২২ ৩১ তারিখে তাদের জন্মদিনের সংখ্যা- ৪। যাদের জন্ম যেকোন মাসের , ১৪ ২৩ তারিখে তাদের জন্মদিনের সংখ্যা- ৫। যাদের জন্ম যেকোন মাসের , ১৫ ২৪ তারিখে তাদের জন্মদিনের সংখ্যা- ৬। যাদের জন্ম যেকোন মাসের , ১৬ ২৫ তারিখে তাদের জন্মদিনের সংখ্যা- ৭। যাদের জন্ম যেকোন মাসের , ১৭ ২৬ তারিখে তাদের জন্মদিনের সংখ্যা- ৮। যাদের জন্ম যেকোন মাসের , ১৮ ২৭ তারিখে তাদের জন্মদিনের সংখ্যা-

এবার নামসংখ্যা নির্ণয়ের সূত্র বলছি। এই পদ্ধতিতেও শুধুমাত্র ইংরেজি বর্ণমালাকে গ্রহন করতে হবে। আমরা সকলেই জানি ইংরেজি বর্ণমালায় ২৬টি বর্ণ আছে। এই ২৬টি বর্ণকে থেকে সংখ্যায় আনতে হবে নিম্নোল্লেখিতভাবে। যেমন, A, I, J, Q, Y এর মান হল- ১। B, K, R এর মান হল- ২। C, G, L, S এর মান হল- ৩। D, M, T এর মান হল- ৪। E, H, N, X এর মান হল- ৫। U, V, W এর মান হল- ৬। O, Z এর মান হল- ৭। F, P এর মান হল- ৮। এই হল ২৬টি বর্ণের মান

এবার নির্ণয় করি কারো নাম FARIDA YASMIN হলে তার নামসংখ্যা কত ? F +A +R +I +D +A = ১৭ অর্থাৎ += এবং Y +A +S +M +I +N =১৫ অর্থাৎ += ৬। পূর্ণ নামের সংখ্যা += ১৪ অর্থাৎ += ৫। তাহলে দেখা যাচ্ছে দুটি সংখ্যাই এক্ষেত্রে প্রভাব রাখছে। কেননা FARIDA YASMIN কে সচরাচর FARIDA সম্ভোধনও করা হয়ে থাকে। আবার কারো নাম TOUHIDUL ISLAM SHILU হলে তার নামসংখ্যা কত ? T +O +U +H +I +D +U +L = ৩৬ অর্থাৎ += , I +S +L +A +M = ১২ অর্থাৎ += , আবার S +H +I +L +U = ১৮ অর্থাৎ += ৯। এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে TOUHIDUL ISLAM SHILU পূর্ণ নামের সংখ্যা ++= ২১ অর্থাৎ += এবং শুধুমাত্র SHILU নামের সংখ্যা ৯। তার অর্থ দুটি সংখ্যাই এক্ষেত্রে প্রভাব রাখছে। এভাবেই সকল নামের সংখ্যা নির্ণয় করতে হবে। উল্লেখ্য যে, জন্মদিনের সংখ্যার সাথে মিলিয়ে শিশুর নাম রাখা উচিত, তবেই নামসংখ্যা জন্মসংখ্যা এক হতে পারে। নতুবা দুটি সংখ্যাই জীবনে প্রভাব বিস্তার করবে
পরবর্তীতে কোন সংখ্যার লোকেরা কেমন হয় তা লিখার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ্