১১ মার্চ, ২০১৩

জ্যোতিষবিদ্যা কি করতে পারে এবং জ্যোতিষের সার্থকতা কি?


জ্যোতিষবিদ্যাকে শুধু এমন এক আয়নার সাথেই তুলনা করা যায় যাতে ভিতরের প্রকৃত মানুষটিকেই শুধু নয়, তার সারা জীবনের সমস্ত ছবিটিই তাতে দেখা যায়মানুষের দৈহিক গঠন, বৈশিষ্ট্য, মানসিকতা থেকে শুরু করে অনেক জিজ্ঞাসা বা কৌতুহলের উত্তর, জীবনের পথনির্দেশ, রোগ নির্ণয় ও চিকিসা এবং যাবতীয় সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান জ্যোতিষবিদ্যা দিতে পারেযেকোন রোগ বা সমস্যায়, দুঃখ-হতাশা-যাতনায়, বিপদে বা দুঃশ্চিন্তায়, ব্যর্থতা বা শত্রুতায় যখন সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ, জ্যোতিষবিদ্যা তখনও সাহায্য করতে পারে দিক-নির্দেশনা দান করেভাগ্য গড়ে দিয়ে নয়মানুষ নিজেই তার ভাগ্য গড়েজ্যোতিষবিদ্যা ভাগ্য গণনার বিষয় নয় এবং অনিবার্যতাকেও নির্ধারণ করেনা, শুধুই সম্ভাবনাকে নির্ণয় করে মাত্রঅনিবার্য বিষয়ে একমাত্র মহান স্রষ্টাই সুনির্দিষ্ট জ্ঞান রাখেন, সৃষ্টির কেউই তাহা জানেননা, জানা সম্ভব নয়প্রকৃত অর্থে জ্যোতিষবিদ্যায় বর্ণিত বৈশিষ্ট্য, ফলাফল বা শুভাশুভ পূর্বাভাস, ভবিষ্যদ্বাণী তথা অবধারিত সত্য নয়; জন্মতারিখ, সময় ও স্থানে গ্রহাবস্থানের ভিত্তিতে কতিপয় সম্ভাবনার সমষ্টিমাত্রজন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমগ্র জীবনের সকল কথা লিপিবদ্ধ করার বিষয় নয়, সম্ভবও নয়, এবং কোন মানুষের ক্ষেত্রেই একই বয়সে একই সাথে সকল দোষ-গুণের সমাবেশ প্রায় অসম্ভব ব্যাপারতাছাড়া মানুষ তার ইচ্ছাশক্তি বলে সেসবের নিয়ন্ত্রণও করতে পারেতবুও মানুষের জীবনের অপেক্ষাকৃত অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলীর অধিকাংশেরই জবাব জ্যোতিষবিদ্যার মাধ্যমে পাওয়া সম্ভবযেসব জবাব বা বিষয় লিখা সম্ভব হয়না তাহাও বিশ্লেষণ করে বুঝে নেয়া যায়চিকিসক বা মনোবিজ্ঞানী যেখানে রোগ হলেই শুধু জানাতে পারে, তাও কত কত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর; জ্যোতিষবিদ্যা সেখানে জন্মের পর পরই কেষ্ঠী রচনার মাধ্যমে লিখে দিয়ে থাকে কারো সারাজীবনের সব রকম ফলাফল এবং সম্ভাব্য সমাধান! আগাম সতর্কতা পেয়ে মানুষ সেরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করলে অবশ্যই উপকৃত হবেতাই বলা যায় জ্যোতিষ এক মানবকল্যাণকর বিদ্যাআর যে বিদ্যা মানবকল্যাণ করে তার আবেদন কোনদিনই ফুরায়না, জ্যোতিষবিদ্যা হাজার হাজার বছর ধরে টিকে থেকে তার প্রমানই রাখছে

যাক সেকথা, দৈহিক গঠন বলতে একজন মানুষের বাহ্যিক পরিচয় বুঝায়, যাতে থাকবে তার চেহারা, গড়ন, আকৃতি, বর্ণ ইত্যাদির বর্ণনাপৃথিবীর সকল মানুষই এসব ব্যাপারে তাদের ভৌগলিক অবস্থান, আবহাওয়া, পরিবেশ, পরিস্থিতি, আর্থিক ও সামাজিক অবস্থা এবং দেশীয় নিজস্ব বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্নপ্রকৃতপক্ষে স্বভাব-চরিত্র বা প্রকৃতি দ্বারাই প্রতিটি মানুষকে চেনা যায়যদিও একজন মানুষের স্বভাব-চরিত্রের সাথে আরেকজনের স্বভাব-চরিত্রের ক্ষেত্র বিশেষে মিল থাকতে পারেতবুও এ মিল দ্বারা দুজন মানুষকে আলাদাভাবে সনাক্ত করা যায়না এমন নয়প্রকৃত মানুষটিকে সনাক্ত করতে হলে তার সম্পূর্ণ প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে হবেআর এক্ষেত্রে জগতের প্রতিটি মানুষই ভিন্ন ভিন্নপ্রতিটি মানুষকে আলাদা আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করা কোন বিজ্ঞান, কোন শাস্ত্র বা কোন বিদ্যার পক্ষেই সম্ভব নয়তবুও জ্যোতিষবিদ্যায় বর্ণিত রাশির প্রকৃতি বা স্বভাব-চরিত্র বিশ্লেষণ- একজন মানুষকে চিনতে যথেষ্ট সাহায্য করতে পারেবিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য একজন মানুষকে অন্য মানুষদের থেকে আলাদা করেপ্রত্যেক রাশিরই এমন কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকে যা সচরাচর অন্যান্য রাশিতে তেমন জোড়ালো ভাবে পাওয়া যায়নাপ্রতিটি মানুষ তার নিজস্ব মানসিকতা দ্বারাও চালিত হয়মানসিকতাই নির্ধারণ করে মানুষটি কেমন হবেআর তার ওপর নির্ভর করে সফলতা-ব্যর্থতা, সুখ-দুঃখ ইত্যাদির ভিত্তিএই মানসিকতাও মানুষের জন্মগত প্রাপ্তিআর প্রত্যেক রাশির মানুষের মানসিকতাও বর্ণিত হয় রাশিতেতদোপরি মানবজীবন মানেই দোষ-গুণের সমাবেশসবচেয়ে খারাপ লোকটিরও কিছুনা কিছু ভাল গুণ থাকতে পারেগুণ আছে বলেই মানুষ সৃষ্টির সেরা প্রাণীজগতের কোন মানুষই তথা কোন রাশির মানুষই ত্রুটি-বিচ্যুতির উর্ধ্বে নয়তবে একটু চেষ্টা করলেই অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি এড়ানো যায়উল্লেখ্যযে, একই সাথে সকল ত্রুটি-বিচ্যুতি একই সময়ে একজনের মধ্যে পাওয়া যাবে এমন কোন কথা নেইএসব ব্যাপারে জ্যোতিষবিদ্যা পূঙ্খানুপূঙ্খ বিশ্লেষণমূলক বর্ণনা করতে পারে, এবং একজন অভিজ্ঞ জ্যোতিষী এইসকল ত্রুটি-বিচ্যুতি বিশ্লেষণ করে সেসব এড়ানোর পরামর্শও দিতে পারেন

স্নেহ-মায়া-মমতা সমগ্র প্রাণীকুলে এক অপরিহার্য বিষয়প্রাণীকুলের যেদিকে তাকাই প্রায় সর্বত্রই তার দেখা মেলেতা না হলে প্রাণীজগতে বংশবৃদ্ধি ঘটতনা, তথা জগত টিকে থাকত নাকিন্তু, সকল প্রাণীর স্নেহ-মায়া-মমতার প্রকাশ ও তার মাত্রা একরকম নয়সকল মানুষের ক্ষেত্রেতো নয়ই, বরং বলা চলে মানুষের স্নেহ-মায়া-মমতার প্রকাশভঙ্গী ও তার মাত্রা অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়এমনকি প্রতিটি মানুষের জীবনে জন্মগত ভাবেই প্রেম-ভালবাসা ও আবেগের একটি নিজস্ব ধরন থাকেতার প্রকাশভঙ্গীর একটি নিজস্ব প্যাটার্ন থাকেহতেপারে তার প্রেম-ভালবাসা ও আবেগের মাত্রার কিংবা গভীরতার পার্থক্যএ ছাড়াও জীবনের এক অপরিহার্য জৈবিক বিষয় রোমান্স ও যৌনতাএটি সমগ্র প্রাণীকুলে বংশবৃদ্ধির প্রক্রিয়া হিসেবে প্রবহমানমানব জীবনেও তার কার্যকারীতা একইরকম, কিন্তু তার প্রকাশ প্রাণীকুলের অন্যান্যের মত নয়আবার প্রতিটি মানুষের ইন্দ্রিয়ানুভূতির এ ব্যাপারটির তীব্রতা, গভীরতা, কামনা, বাসনার মাত্রা ভিন্ন ভিন্নএ বিষয়ে প্রত্যেকেরই নিজস্ব একটি বৈশিষ্ট্য আছেথাকতে পারে নিজস্ব রুচী ও বৈচিত্র্যময়তাএসব ব্যাপারেও জ্যোতিষবিদ্যা পূঙ্খানুপূঙ্খ বিশ্লেষণমূলক বর্ণনা করতে পারে, এবং সহায়ক পরামর্শ দিতে পারে

বিয়ে ও দাম্পত্য সম্পর্ক মানব জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়এ অধ্যায়ের বর্ণনা ব্যতীত মানব জীবনচিত্র অসম্পূর্ণএকজন মানুষের জীবনে একটি বড় অংশ জুড়ে থাকে তার ঘর-সংসার ও পরিবারগৃহ তথা পারিবারিক জীবনে একজন মানুষ তার অন্তর্নিহিত দোষ, গুণ, মানসিকতা, চিন্তাধারা, স্বভাব-চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য দ্বারা অন্যান্যদের সাথে পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেএই সম্পর্কের ওপর নির্ভর করে মানব জীবনে সুখ, হাসি, আনন্দ বা দুঃখ, বেদনা, হতাশা এবং সমৃদ্ধি, সাফল্য বা ব্যর্থতা ইত্যাদিপুরুষ এবং স্বামী হিসেবে প্রতিটি পুরুষের ব্যক্তিত্ব, পছন্দ-অপছন্দ, রুচীবোধ, মানসিকতা যেমন ভিন্ন ভিন্ন; তেমনি নারী এবং স্ত্রী হিসেবেও প্রতিটি নারীর নিজস্ব একটি বৈশিষ্ট্য আছেএর উপর নির্ভর করে দাম্পত্য জীবনের সুখ-শান্তি-সাফল্য সহ আরও অনেক কিছুএসব ব্যাপারেও জ্যোতিষবিদ্যার পূঙ্খানুপূঙ্খ বিশ্লেষণমূলক বর্ণনা ও পরামর্শ মানুষের কল্যাণ করতে পারে

বিদ্যা-শিক্ষা-জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাই মানুষকে সভ্য মানুষরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছেমানুষের উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ায় তার অবদান অপরীসীম বলে আজকের দুনিয়ায় তা অপরিহার্য বিষয় হিসেবে গণ্যপ্রতিটি মানুষের মেধা ও মননশক্তি যেমন ভিন্ন ভিন্ন, তেমনি বিদ্যা-শিক্ষা-জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার ব্যাপারেও পছন্দ-অপছন্দ নিজস্বতা ছাড়া পেশা-জীবিকা ও কর্ম ব্যতীত কোন জীবনচিত্র কল্পনা করা যায়নাবরং জীবনের এক উল্লেখযোগ্য অংশ এটিজীবনের স্রোতধারায় তার ভূমিকা বিরাটজীবনের সার্থকতা ও ব্যর্থতা তার ওপর অনেকটাই নির্ভরশীলউপযুক্ত পেশা বাছাই সেজন্য খুবই জরুরীএসব ছাড়াও অর্থ-সম্পদ মানব জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িতমানবজীবন ধারনের সবক্ষেত্রে অর্থের প্রয়োজনতাই মানবজীবনের আর্থিকক্ষেত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কিন্তু সকলের আর্থিক সম্ভাবনা একরকম নয়, বরং বলাচলে জীবনের মতই তা বৈচিত্র্যময়এসব ব্যাপারেও জ্যোতিষবিদ্যার পূঙ্খানুপূঙ্খ বিশ্লেষণমূলক বর্ণনা ও পরামর্শ মানুষের কল্যাণ  করে থাকে নিঃসন্দেহে

মানুষ সতর্ক হলে, সচেতন থাকলে এবং সংযম, নিয়ম-নীতি ও পরামর্শ-অবগতি মেনে চললে অনেক রোগব্যাধি, বিপদ বা দূর্ঘটনাকে এড়িয়ে যথাসম্ভব স্বাস্থ্যসম্মত, সুস্থ্য ও নিরাপদ জীবন যাপন করতে পারেতাছাড়া ক্রীড়া বা বিনোদনও মানবজীবনের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িততবে এসব ব্যাপারে প্রত্যেকের অভিলাষ তার নিজের মতসবাই সবরকম খেলাধূলা বা সবরকম বিনোদন পছন্দ করেনাপ্রত্যেকের পছন্দ-অপছন্দই ভিন্ন ভিন্নআবার অনেক খেলাধূলার সাথে শারীরিক সামর্থের ব্যাপারও জড়িততেমনি অনেক বিনোদনের সাথে মানসিকতা, রুচীবোধ এবং আর্থিক সামর্থের ব্যাপারটিও জড়িতএসকল ব্যাপারেও জ্যোতিষবিদ্যা পূঙ্খানুপূঙ্খভাবে সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করে সতর্কতা সহ সহায়ক পরামর্শ দিতে পারে

শৈশবেই মানবজীবনের ভিত্তি রচিত হয় বলে এ বয়সটি মানবজীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়সবার উচিত শৈশবেই তাদের প্রিয়জনদের রাশি-লগ্ন জেনে নিয়ে সে অনুসারে তাদের দোষনীয় বৈশিষ্ট্যগুলি ঝেড়ে ফেলে শুভ গুনাবলীগুলির আরো বিকাশ ঘটিয়ে সার্থক জীবন গঠনে সহায়তা করা  তবেই জীবনকে সুখ ও সাফল্যে ভরপুর করে উপভোগ করা যায়নতুবা দুঃখ-হতাশা-বেদনা-লাঞ্ছনা-গঞ্জনা চিরসাথী হওয়ার সম্ভাবনা থাকেশৈশবেই যার জীবনের দিক-নির্দেশনা গঠিত হয় তার জীবন ব্যর্থ হওয়ার কথা নয়, বরং যারা দিক-নির্দেশনাহীন তারাই ব্যর্থতার যন্ত্রনা ভোগ করেশৈশবের দিক-নির্দেশনাপূর্ণ জীবন গঠনেই জ্যোতিষবিদ্যার আবেদন বেশি, এবং আমি মনেকরি জ্যোতিষবিদ্যার সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্যতাও এখানেই

জীবন যেহেতু বহমান নদীর মতই, তাই কোথাও বাঁক, কোথাও সমান্তরাল, কোথাওবা প্রচন্ড উত্তাল, কোথাওবা শান্ত, নদীর মতই জীবনের ধারা বয়ে চলে আমৃত্যুএখানেও জোয়ার-ভাটা আছে, আছে ভাঙ্গা-গড়াসুখ-দুঃখ, ভাল-মন্দ মিলিয়েই মানুষের জীবনএ গুলো কখনো কারো জীবনে নিরবচ্ছিন্ন হয়নাএসব ব্যাপারেও জ্যোতিষবিদ্যার পূঙ্খানুপূঙ্খ বিশ্লেষণমূলক বর্ণনা ও পরামর্শ যে মানুষের কল্যাণ  করে থাকে তাতে কোন সন্দেহ নেই

মানুষ সমাজবদ্ধ জীবন যাপন করে বলেই অন্যান্যদের সাথে তার পারস্পরিক সম্পর্ক গড়তে হয়এ পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর নির্ভর করে সমঝোতা ও সুখ-শান্তি সহ অনেক কিছুসকলের সাথে সকলের ভালো মিল হয়না বা ব্যক্তিত্বের সংঘাত দেখা দেয়, আবার কারো সাথে কারো ভাল মিল হতে পারেকার সাথে কার সম্পর্ক কেমন হবে পূর্ব থেকে ধারণা নিয়ে যদি সম্পর্ক স্থাপন করা যায়, তবে অনেক ঝামেলা, ভুল বুঝাবুঝি, বিশৃঙ্খলা, অশান্তি, ইত্যাদি সমস্যাগুলো যথেষ্ট পরিমানে যেমন এড়ানো যায়; তেমনি অনুকুল রাশির লোকের সাথে সম্পর্কে কার্যকর সুফল পাওয়া যায়এ ব্যাপারেও জ্যোতিষবিদ্যা প্রায় নির্ভূল দিক-নির্দেশনাপূর্ণ পরামর্শ সহ সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করে থাকে

সর্বোপরি জ্যোতিষবিদ্যার মাধ্যমে সম্ভাব্য জীবনচিত্র জানা যায়এ জানার সার্থকতা তখনই পাওয়া যাবে, যখন মানুষ জ্যোতিষের পরামর্শ ও অবগতি সম্পূর্ণ মেনে চলবে, তথা শুভাশুভ দিন-তারিখ-সংখ্যানুযায়ী পদক্ষেপ নিবে এবং গ্রহরত্ন-রং-ধাতূ ব্যবহার করে শুভফল লাভ করবেএছাড়াও তার দোষ-ত্রুটিগুলো শুধরে শুভ ও কল্যাণকর গুণগুলোর আরো জোড়ালোভাবে বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হবে এবং সম্ভাব্য ঝামেলা, অশান্তি, রোগ-ব্যাধি, বিপদ বা ক্ষতিকে এড়িয়ে নির্ঝঞ্ঝাট, শান্তিময়, নিরোগ, স্বাস্থ্যপূর্ণ, সুখী, সুন্দর ও সাফল্যময় জীবন গঠনে সমর্থ হবেআর এসব ব্যাপারে সফলতা অর্জনে সঠিক পরামর্শ জ্যোতিষবিদ্যা দিতে পারে বলেই জ্যোতিষের সার্থকতা