জ্যোতিষবিষয়ক লেখা বা প্রকাশনা বাংলাদেশে খুবই কম, নির্ভরযোগ্য শিক্ষামূলক লেখা আরও কম, গবেষনামূলক লেখা নেই বললেই চলে। তাই পড়ার জন্য বিদেশী, বিশেষকরে ভারতীয় বইয়ের উপরই নির্ভর করতে হয়। তাও বাংলা বই যথেষ্ট নয়, বেশিরভাগই ইংরেজি। এমতাবস্থায় বাংলাদেশে বাংলাভাষায় জ্যোতিষবিষয়ক, তদুপরি গবেষণামূলক লেখার সাহস দুঃসাহসই বটে। তবুও যদি পাঠকপ্রিয়তা পায় লেখার উৎসাহটা বৃদ্ধি পাবে নিশ্চয়ই।
আমি অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত কিন্তু সার-সংক্ষেপ সহজ বাংলায় বর্ণনা করার চেষ্টা করব যাতে জ্যোতিষবিদ্যার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত জ্যোতিষী, জ্যোতিষবিদ্যার শিক্ষার্থী, অনুরাগী, উৎসুক ব্যক্তি, শিক্ষিত জ্ঞান পিপাসু কিংবা যে কেউ পাঠ করে উপকৃত হতে পারেন এবং জ্যোতিষ সম্পর্কে জ্ঞানের পরিধি বাড়িয়ে নিতে পারেন।
বর্তমানে যে সামাজিক অবক্ষয় শুরু হয়েছে, পারিবারিক দ্বন্ধ, দাম্পত্য অশান্তি, পারস্পরিক সহমর্মিতার অভাব, আত্মহত্যার প্রবনতা, অবিশ্বাস ইত্যাদি সমস্যাগুলির অতি সহজ সমাধানের পথ খুলে দিতে পারে জ্যোতিষবিদ্যার রাশি সমূহের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। আমরা যদি নিজেকে এবং পারিপার্শ্বিকজনদের ভালভাবে চিনতে পারি, বুঝতে পারি তাহলে প্রত্যেকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথে এগুতে পারি। কেননা, ভুল বুঝাবুঝির মাত্রা বেড়ে গেলেই দাম্পত্য জীবনে চড়ম অশান্তি সৃষ্টি হয়, কেউ কাউকে বুঝতে চায়না। জ্যোতিষবিদ্যা স্বামী-স্ত্রীর মানসিকতা বুঝতে খুবই সাহায্য করতে পারে। বিয়ের আগে দু’জন দুটি পৃথক পরিবারে, ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে বেড়ে উঠায় মানসিকতার মধ্যেও সেই ভিন্নতার ছাঁপ থাকা স্বাভাবিক। তদুপরি রাশির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতাতো থাকবেই। জ্যোতিষবিদ্যা নির্ণয় করে দিতে পারে কার চারিত্রিক ও মানসিক বৈশিষ্ট্য কেমন, কার সাথে কার সমঝোতা হতে পারে, কার সাথে কার দেয়া-নেয়ার সম্পর্ক ভাল হবে ইত্যাদি সবকিছুই। তাই আমাদের সকল বয়সের সকল শ্রেণীর সকলেরই উচিত জ্যোতিষবিদ্যার সাহায্য নিয়ে সুখী সুন্দর জীবন, সমাজ, দেশ তথা বিশ্ব গঠনে সচেষ্ট হওয়া।